ইউরো ২০২০-র গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে গতকাল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নেমেছিল পর্তুগাল। আর সেই ম্যাচে পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করে আলি দাইয়ের নজির স্পর্শ করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গতকালের পর নিজের দেশের জার্সিতে এই দুই তারকারই গোল সংখ্যা ১০৯টি। গতকাল প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেছিলেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। জোয়াও মউতিনহো ও রেনাতো স্যাঞ্চেসকে শুরু থেকে খেলালেন। যাতে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে।
খেলার চার মিনিটেই স্যাঞ্চেসের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। রোনাল্ডোর হেড বাঁচান ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। শুরুর ধাক্কা সামলে ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। পল পোগবা, আঁতোয়া গ্রিজম্যান ও কিলিয়ান এম্বাপে আক্রমণে চাপ বাড়তে শুরু করে পর্তুগাল রক্ষণে। চাপ সামলে ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। গোলদাতা রোনাল্ডো। ফ্রি-কিক থেকে ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সে বল ভাসিয়ে দিয়েছিল মউতিনহো। হেড করতে লাফিয়েছিল দানিলো পেরেরা। বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে হুগো আঘাত করে পর্তুগাল মিডফিল্ডারের মুখে। পেনাল্টি দেন রেফারি। গোল করেন সি আর সেভেন।
প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে নাটকীয় ভাবে বদলে যায় ছবিটা। পেনাল্টি থেকেই সমতা ফেরায় ফ্রান্সের করিম বেঞ্জেমা। পর্তুগালের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে নেলসন সেমেদোর সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে গিয়েছিল এম্বাপে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর দু’মিনিটের মধ্যে ফের গোল করে ফ্রান্সকে ২-১ এগিয়ে দিয়ে বেঞ্জেমা বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সফল স্ট্রাইকার বলা হয়। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬০ মিনিটে ফের রোনাল্ডোই আবার পেনাল্টি থেকে ২-২ করেন। একই সঙ্গে স্পর্শ করল দেশের জার্সিতে সর্বাধিক গোল করা আলি দাইয়ের নজির।