২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় কেন্দ্র। পাশাপাশি লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীরকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়। প্রথম থেকেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এসেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে ফারুক আবদুল্লার মতো নেতার উদ্দেশ্যে নিজের সহমর্মিতাও প্রকাশ করেন মমতা। এদিন সেই কাশ্মীর প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করা হলে ফের একবার মোদী সরকারকে তোপ দাগেন মমতা। তাঁর দাবি, কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম খারাপ হয়েছে।
এদিন কাশ্মীর নিয়ে সর্বদল বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে খুব একটা অবগত নই, তাই আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘কাশ্মীর থেকে রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়ার কী প্রয়োজন ছিল?’ তিনি এ-ও বলেন, ‘যদি মানুষের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে সবকিছুই শেষ হয়ে যায়। দেশের কোনও অর্থই থাকে না। এই একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম খারাপ হয়েছে।’ উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের ১৪ জন নেতার সঙ্গে আজ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এটিই রাজনৈতিক স্তরে সবথেকে বড় বৈঠক।