বহু প্রবাসী দেশি পড়ুয়াই টিকা নিয়ে রীতিমতো আটকে পড়েছেন। কারণ করোনা টিকা হিসেবে কোভ্যাকসিনকে কার্যত গ্রাহ্য করছে না বেশ কয়েকটি দেশ। এবার বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে যাতে কেন্দ্র বিষয়টিতে নজর দেয়, যাতে ছাত্ররা স্ব স্ব ক্যম্পাসে ফিরে যেতে পারেন, সেই ব্যাপারেই হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন স্পষ্ট বলেন, কোভ্যাকসিনকে বাইরের বহু দেশে মান্যতা দেয়নি। এ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। বাইরের দেশে পড়তে যেতে পারছে না তাঁরা। মমতার তোপ, এটা প্রধানমন্ত্রীর মস্তিস্কপ্রসূত। এরপরেই তিনি বলেন, আমি মুখ্যসচিবকে বলব স্বাস্থ্য সচিব ও কেন্দ্রকে এই বিষয়ে চিঠি লিখতে। যাতে কোভ্যাক্সিনকে বাইরের দেশ মান্যতা দেয় সেই বিষয়টা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে। মমতা বলছেন, প্রয়োজনে আমিও চিঠি লিখব। বলাই বাহুল্য করোনা পরিস্থিতিতে অভাব অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রকে চিঠি কোনও নতুন বিষয় নয়। অতীতেও বারংবার তিনি অক্সিজেন ঘাটতি-সহ একাধিক প্রসঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই চিঠি পাঠিয়েছেন।
এ দিনও টিকাদানে বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে তো দলীয় অফিসেও টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলোকে কেন টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এর পর মমতার কটাক্ষ, আমি তো মনে করি বিজেপিই সবচেয়ে বড় রোগ সবার জন্য, সারা দেশের জন্য।
দিন কয়েক আগেই জেপি নাড্ডা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে এই দেশে। মমতা বিষয়টিকে কোনও ভাবেই হালকা ভাবে নিতে রাজি নন। কূপিত মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা, আমি বুঝি না কেন নাড্ডা এসব বলছেন। উনি কি ফ্যাক্ট জানেন না? ছয়/আট মাস তাঁরা কী করলো ?বলাই বাহুল্য নির্বাচনের দিনগুলিতেই আঙুল মমতার। কারণ ভোটের বহু আগে থেকেই তিনি জানিয়ে আসছিলেন আট দফায় নির্বাচন করা ঠিক সিদ্ধান্ত নয়।