‘দুয়ারে রেশন’ এর পর এবার রাজ্য খাদ্য দফতর চালু করছে ‘দুয়ারে আধার নম্বর’। রেশন গ্রাহকদের জন্যে এবার চালু করা হচ্ছে ‘দুয়ারে আধার নম্বর’ সংযুক্তিকরণ কর্মসূচি। রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা হবে এই কাজ। ইতিমধ্যেই দফতরের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে ‘ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড’ এর সাথে। আগামী দু’মাসের মধ্যে এই কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনো হচ্ছে। যার ফলে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি রেশন গ্রাহকের আধার সংযুক্তিকরণের কাজ সম্পন্ন হবে। এর পরেও যদি কারও নাম সংযুক্তিকরণ না হয়ে যায়, তাহলে এলাকা ভিত্তিক শিবির খোলা হবে।
কেন্দ্রীয় নিয়মানুযায়ী ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী আগস্ট মাস থেকে রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। রাজ্যের খাদ্য দফতর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রেশন ডিলারদের এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই তারা যাতে আধার সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়ে দিতে পারে। এই কাজ করতে গেলে পূরণ করতে হবে ১১ নম্বর ফর্ম। আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে গেলে, রেশন ডিলারদের কাছে থাকা ই-পস মেশিনে অনলাইন মারফত যুক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে খাদ্য দ্রব্য গ্রাহকরা নিলেই সাথে সাথে খাদ্য দফতর জানতে পেরে যাবে ওই গ্রাহকের পরিচয়। যা কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত হয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরেই, গত সপ্তাহে রেশন নিয়ে মিটিং করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বর্তমান ও প্রাক্তন দুই খাদ্য মন্ত্রী হাজির ছিলেন। সেখানেই তিনি দ্রুত আধার সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দেন। তারপরেই কাজ শুরু করে দেয় খাদ্য দফতর। কাজ করছে রাজ্য সরকারি সংস্থা ওয়েবেল। ইতিমধ্যেই রেশন গ্রাহকরা নিজেরাই অনেকে আধার সংযুক্তিকরণ করার কাজ করছেন। কিন্তু অনেকেই এই পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তাই ওয়েবেল এজেন্সি নিয়োগ করেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই দেশে চালু হচ্ছে, ‘এক দেশ, এক রেশন’ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। ই-পস মেশিনে যাচাই করা হবে আধার সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া।