বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর একদিকে যখন গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। বারবারই সামনে এসে পড়ছে পদ্মবনের অন্তর্কলহ। তখন অন্যদিকে, ভাঙন অব্যাহত বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই যেমন বহু নেতা-নেত্রী দলত্যাগ করেছেন৷ তেমনি দলে থেকেই ‘বেসুরো’ হয়ে উঠেছেন একদল৷ এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন রিঙ্কু নস্কর।
প্রসঙ্গত, ভোটের টিকিট পেতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করেছিলেন রিঙ্কু। সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিঞ্জ। তবে যাদবপুর কেন্দ্রে বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়ার পর এখন ঘরে বসেই কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। তিনি খাতায়-কলমে ‘ওয়ার্ড কো–অর্ডিনেটর’ বটে, তবে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার কোনও কাজেই তাঁর দেখা মিলছে না। বাঘাযতীন জ্যোতিসংঘ ক্লাব লাগোয়া পুরসভার ওয়ার্ড অফিসেও রিঙ্কু নেই। তাঁর আক্ষেপ, ‘আমার পাশে কেউ নেই। এখনও আমার সঙ্গে থাকা অনেকেই ঘরছাড়া।’
উল্লেখ্য, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রিঙ্কু। তবে ভোটে পরাজয়ের পরেই দলের কেউ যোগাযোগ রাখছেন না বলে অভিযোগ তাঁর। ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারী–সহ কোনও রাজ্যস্তরের নেতাই আর যোগাযোগ রাখেননি। ফোন করেননি। একমাত্র ডাঃ সুভাষ সরকার যোগাযোগ রেখেছেন।’ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সাংগঠনিক কাজের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রিঙ্কুর।