ভোট পরবর্তী সময়ে বারবার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেই অভিযোগ যে একেবারেই মিথ্যে নয়, তাই যেন বারবার প্রমাণ হচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি ঘটনাতেই কাঠগড়ায় বিজেপি শিবির। বারবার দেখা যাচ্ছে, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতেই আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এবার ফের সেই একই ঘটনা ঘটলো। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল নেতার নাক-ঠোঁট কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত নেতার পরিবারের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুখুড়িয়ার মাগুর এলাকায়।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতা এমদালুল হকের পরিবার জানিয়েছে, তিনি রতুয়া ব্লকের শ্রীপুরের তৃণমূলের সহ-সভাপতি। মঙ্গলবার দলীয় বৈঠক সেরে রাত বারোটা নাগাদ নিজের মোটর সাইকেলে করে ফিরছিলেন এমদালুল। অভিযোগ, সেইসময় তাঁর পথ রোধ করে ছয়-সাতজন দুষ্কৃতী। তাদের কাছে হাঁসুয়া আর লোহার রড ছিল বলে অভিযোগ। হাঁসুয়া দিয়েই এমদালুলকে কোপাতে যায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। হাঁসুয়ার কোপে তাঁর ঠোঁট ও নাক কেটে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই প্রান বাঁচাতে চিৎকার শুরু করে এমদালুল। তখনই ধরা পড়ার ভয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী আসমা বিবি জানিয়েছেন, তৃণমূল করার জন্যই তাঁর স্বামীর উপরে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এদিন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমদালুলকে খুনের পরিকল্পনাই করেছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। আক্রান্তের দাদার কথায়, “ভাই রাতে দলের কাজ সেরে ফিরছিল। তখন অনেকে ওকে ঘিরে ধরে মারধর করে। হাঁসুয়া দিয়ে কোপায়। ওর নাক ঠোঁট কেটে গিয়েছে। মালদা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।” দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।