বির্তক যেন পিছুই ছাড়ছে না তাঁর। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু থেকে শুরু করে বলিউড তারকাদের ড্রাগ যোগ, কৃষক আন্দোলন থেকে গ্রেটা থুনবার্গ, রেহানাদের টুইট — সাম্প্রতিক অতীতে প্রায় সমস্ত বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেই সেই বিতর্ককে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে একাধিক বার তাঁর বিরুদ্ধে আইনি নোটিস জারি, এমনকী, তাঁর টুইটার হ্যান্ডলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও দমে যাননি ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’। এবার তিনি দাবি তুলেছেন, ব্রিটিশদের দেওয়া ‘ইন্ডিয়া’ নাম মুছে এ দেশের নাম কেবলমাত্র ‘ভারত’-ই রাখা হোক। তাঁর মতে, ‘ইন্ডিয়া’ আসলে ইংরেজদের ‘স্লেভ নেম’ অর্থাৎ একদা শাসকদের করা ক্রীতদাসের নামকরণ। এতে কোনও গৌরব নেই।
প্রসঙ্গত, টুইটারে হ্যান্ডল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে টুইটারের ভারতীয় সংস্করণ ‘কু’-তে নিজের এই নয়া মতামত তুলে ধরেছেন ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের উত্থান তখনই সম্ভব যখন এর শিকড়ের সঙ্গে প্রাচীন আধ্যাত্মবাদ ও জ্ঞানের যোগ থাকবে। এটাই আমাদের মহান সভ্যতার আত্মা। বিশ্ব আমাদের দিকে উঁচু নজরে তাকাবে এবং আমরা বিশ্বনেতা হিসেবে উঠে আসতে পারব। যদি আমাদের নগরকেন্দ্রিক উন্নতি হয়। তা বলে সেটা যেন পশ্চিমী দুনিয়ার অক্ষম অনুকরণ না হয়। বরং বেদ, গীতা ও যোগাসনের শিকড়ের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। আমরা কি এই দাসত্বের নাম ‘ইন্ডিয়া’কে বদলে ‘ভারত’ করে দিতে পারি না।’
এখানেই থেমে বা থেকে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কঙ্গনা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডাস ভ্যালি’ তথা সিন্ধু উপত্যকা থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ নামকরণ। তাঁর বক্তব্য, কেবল জন্মের হিসেবে কারও নাম রাখা যায় না। বরং ভারত নামের মধ্যে রয়েছে আলাদা অর্থ। ‘ভা’ অর্থে ‘ভাব’, ‘র’ অর্থে ‘রাগ’ ও ‘ত’ অর্থে ‘তাল’। কঙ্গনার এই পোস্টের নিচে কমেন্টে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন যেমন অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, সামান্য সংস্কৃত জ্ঞান ও পৌরাণিক ভারত সম্পর্কে ধারণা থাকলেই কঙ্গনা বুঝতে পারবেন দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার পুত্র ‘ভরত’-এর নাম থেকেই দেশের নাম হয়েছে ভারত। এছাড়া আরও অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করেছেন অভিনেত্রীর সঙ্গে।