একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। বারবারই বাইরে এসে পড়ছে দলের অন্তর্কলহ, নেতাদের দ্বৈরথ। যেমন ইদানীং একের পর এক টুইটে দলের নেতাদের আক্রমণ করে চলেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। প্রায় সময়েই তথাগতর তির থাকছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে কৈলাস বিজয়বর্গী, অরবিন্দ মেননদের দিকে। এবার সরাসরি বিজয়বর্গী-মেননকে নিশানায় নিলেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে যখন দিকে দিকে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন কৈলাস বিজয়বর্গী কিংবা অরবিন্দ মেননরা কোথায়? শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যবার্ষিকীতে এবার এমনই প্রশ্ন তুলে দলের নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তথাগত।
এদিন, শ্যামাপ্রসাদের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের পর তথাগত রায় বলেন, ‘রাজ্যে যেভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, বাড়ি লুঠ হচ্ছে, বাড়িঘর ভাঙচুর হচ্ছে, তাতে রাজ্যে কোনও প্রশাসন আছে বলে আমি মনে করছি না।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘এইসময় অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় কোথায় সেটা তাঁদের জিজ্ঞেস করুন। তাদের এখন রাজ্যে মানুষের পাশে থাকার দরকার ছিল। কিন্তু তাঁরা কোথায় এখন রয়েছেন সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।’ উল্লেখ্য, ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্যে ফেরেননি বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস। ২৯ তারিখের বৈঠকেও তাঁর অনুপস্থিতির সম্ভাবনার খবরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজয়বর্গী, শিবপ্রকাশ, মেনন, দিলীপদের পুরো নাম না নিয়ে ‘কে’, ‘এস’, ‘এ’, ‘ডি’ নামসংক্ষেপ ব্যবহার করে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল তথাগতকে। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, কয়েক হাজার মানুষ, যাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন, তাঁরা ঘরছাড়া…আমি অসহায়। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কে-এস-এ পালিয়ে গিয়েছেন। ডি ফোন ধরছেন না। এরপর ফের দিবাকর দেবনাথ নামে এক টুইটার ব্যবহারকারীর মুকুল রায় ও কৈলাসকে নিয়ে করা টুইট রিটুইট করে তথাগত লেখেন, ‘একজন একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মীর টুইটের যথার্থ অনুবাদই করছি। কোনও অংশ যোগ বা বিয়োগ করিনি।’ কৈলাসের উদ্দেশ্যে ওই ব্যক্তি যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন, তার আক্ষরিক অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি লেখেন, ‘বোকা বিড়াল’।