রাজনৈতিক হিংসার যে অভিযোগগুলি আমাদের কমিশনের কাছে এসেছে, তার অধিকাংশই দায়সারা। কমিশনের পক্ষে সেগুলি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার তেমন কোনও সুযোগ নেই। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত টিমের কাজ শুরুর মুখে এমনটাই জানালেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) গিরিশচন্দ্র গুপ্ত। তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ-ছ’টি অভিযোগ নিয়ে আমরা প্রশাসনের জবাব তলব করেছি। ওই অভিযোগগুলির কিছু সারবত্তা আছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জাতীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশন রাজ্য লিগাল এইড অথরিটির সদস্যদের নিয়ে কমিটি তৈরি করে দিয়েছে। সেই কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য রাজীব জৈন। এ ছাড়া আছেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। আছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার পাঁজা এবং রাজ্য লিগ্যাল এইড অথরিটির প্রতিনিধি। কমিটি কবে থেকে কাজ শুরু করবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
এদিন বিচারপতি গুপ্ত বলেন, অনলাইনে ভোট হিংসা নিয়ে ৫০-৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৫-৬টি অভিযোগ তথ্যপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ যথাযথভাবে লেখা। বাকি অভিযোগগুলি এতটাই অসম্পূর্ণ এবং দায়সারা, যে সেগুলি সম্পর্কে প্রশাসনের জবাব তলব করার সুযোগ ছিল না। ৫-৬টি অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের জবাব তলব করা হয়েছে। তিনি জানান, যাঁরা আমাদের কাছে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করেছেন, একইভাবে তাঁরা পুলিশ প্রসাশনের কাছেও অভিযোগ পাঠাতে পারতেন। অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করতে তো কোনও বাধা নেই। কিন্তু বেশিরভাগেরাই তা করেননি। কেন তা করেননি আমরা বলতে পারব না।