নারদ মামলায় নয়া মোড়। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ তাঁর হলফনামা গ্রহণ করেনি। এবার হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে হবে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে নারদ মামলায় তৃণমূলের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরই নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দফতরের বাইরে ভিড় এত বেড়ে যায় যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করে সেই ভিড় সামলাতে হয়। এরপরই নারদ মামলা অন্যত্র সরানোর দাবি করে সিবিআই।
তাদের দাবি, প্রভাবশালীদের উপস্থিতির ফলে নিম্ন আদালতের শুনানি নিরপেক্ষ হয়নি এমন ধারণা তৈরি হবে জনমানসে। শুধু তাই নয়। মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে মামলায় পক্ষও করেছে তারা। এরপরই গত ২১ মে থেকে মামলা অন্যত্র সরানো নিয়ে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলে শুনানি। কিন্তু হাইকোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটকের জবাবি হলফনামা গ্রহণ করেনি।
সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মলয়। নারদ মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আরজি জানান। আর এবার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মূলত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতেই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।