রীতিমতো তলানিতে দেশের নিয়োগব্যবস্থা। গত এপ্রিল মাসে দেশে মাত্র ৬,৮৯,৪০৩ জন নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। বিগত ১০ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের পে-রোল ডেটা থেকে উঠে এসেছে এই পরিসংখ্যান। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভকেই এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ওয়েভের সঙ্গে সঙ্গে লকডাউনের ফলে অনেক কর্ম প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ বন্ধ থেকেছে। নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগও কম হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাকরি কম দেশজুড়ে।
প্রসঙ্গত, কোভিডের প্রথম ওয়েভের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল পরিস্থিতি। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে ৮,০৭,৪৮২ জন কাজে যোগ দেন। এর পরের মাস থেকেই কমতে শুরু করে সংখ্যাটা। মার্চে নতুন নিয়োগ হয় ৭, ১৬,২২৩টি। আর তারপরেই এপ্রিলে আরও কমে যায় নিয়োগ। বে প্রথম ওয়েভে (গত বছরের) জুনে আরও টলমল ছিল চাকরির বাজার। সেই মাসে মাত্র ৫,৭৭,৮৩২ টি নতুন চাকরি যোগ হয়েছিল দেশজুড়ে।
বিশদ হিসাব অনুযায়ী, মূলত ১৮-২৫ বছর অর্থাৎ ফ্রেশারদের নিয়োগের ক্ষেত্রেই এই নতুন নিয়োগে পতন। ২৬-২৮ বা ২৯-৩৪ বয়সিদের ক্ষেত্রেও এই সংখ্যা কমেছে। তবে তা তুলনায় অনেক কম। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মে মাসের পরিসংখ্যান বের হলে আরও খারাপ পরিস্থিতির খবর আসতে পারে। মে মাসে হয় তো আরও কম নিয়োগ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ছরেও প্রথম ওয়েভের পরেও ধীরে ধীরে আবার নিয়োগের পরিস্থিতি আগের পর্যায়ে ফিরতে শুরু করে। পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে বর্তমানে অনেকটাই নিম্নমুখী। ফলে, চাকরির বাজার আবার স্বাভাবিকের দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এরই মাঝে রয়েছে তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কা। তাই পুরোটাই যে এখন করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।