ভোটের পর থেকেই বিরোধী দলগুলি থেকে তৃণমূলে যোগদানের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন মালদা বিজেপির এসসি মোর্চার সহ-সভাপতি। তাঁরই সঙ্গে এদিন জোড়াফুল শিবিরে এলেন গেরুয়া শিবিরের শতাধিক কার্যকর্তা। এছাড়াও কংগ্রেসের প্রধান সহ প্রায় দেড় হাজার কর্মী সর্মথকও যোগ দেন তৃণমূলে। মালদার হবিবপুর বিধানসভার রাইস মিল হাটে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। দলের নতুন সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর ও কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা।
জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা পরিষদ সদস্যা জুথীকা মন্ডল সরকার, মালদা জেলা বিজেপির এসসি মোর্চার সহ-সভাপতি প্রশান্ত সরকার, যুব মোর্চা সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ সিংহ সহ গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক কার্যকর্তা এদিন যোগ দেন তৃণমূলে। পাশাপাশি হবিবপুর ব্লক জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি বিদ্যুৎ গঙ্গোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির ৪ জন সদস্য, হবিবপুর ও কানতুরকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ মোট চারটি অঞ্চলের প্রায় ১৫০০ কংগ্রেসেরও মৌসুম নূরের হাত ধরে তৃণমূলে আসেন। মৌসম ছাড়াও এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হবিবপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উজ্জ্বল মিশ্র, বামনগোলা ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি অশোক সরকার সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব।
যোগদান পর্ব শেষের পর জেলার তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “মহা যোগদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারণ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন বিজেপি, কংগ্রেসে থেকে কাজ করা যায় না। সেই কারণে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। মানুষের কাজ করতে হলে আগামীদিনে আরও অনেকে তূণমূলে আসবেন।” ভবিষ্যতে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে আসতে চলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, হবিবপুর বামনগোলা বিজেপির গড় বলে পরিচিত। এবার সেই গড়েই ভাঙন ধরাল তৃণমূল।