‘বঙ্গভঙ্গ’ তথা পৃথক রাজ্য তৈরির দাবি জানিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের শীর্ষে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি তুলেছেন তিনি। এ বার সেই দাবিতে সমর্থন জানাতে এগিয়ে এলেন উত্তরবঙ্গের আরও এক বিজেপি বিধায়ক। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ জানিয়েছেন, তিনি এই দাবির সঙ্গে সহমত।
আজ যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বঙ্গভঙ্গ প্রসঙ্গে আনন্দ বর্মণ বলন, ‘দল যাই বলুক, দলের কর্মসূচি আমরা দলে আলোচনা করব। কিন্তু বার্লা যে দাবি তুলেছেন তা মানুষের দাবি। আমিও ওই দাবির সঙ্গে সহমত। বাকি সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকার নেবে।’ আনন্দ বর্মণ অভিযোগ করেন, উত্তরবঙ্গের ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই, উত্তরকন্যায় কোনও কাজ হয় না। এই বিষয়টা উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগের ব্যাপার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বিধায়কের মতে, উত্তরবঙ্গকে পৃথক করা অবশ্যই জরুরি। বঞ্চনা থেকে মুক্ত করা উচিৎ উত্তরবঙ্গের মানুষকে।
জন বার্লার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের এফআইআর প্রসঙ্গে আনন্দ বর্মণ বলেন, ‘তৃণমূল কিসের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে জানিনা। তবে, একজন রাজনৈতিক নেতার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে উনি কোনও রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেননি।’ তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। জন বার্লার এলাকা আলিপুরদুয়ারে পাঁচটি বিধানসভা আসনই জিতেছে বিজেপি। আর সে জন্যই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তৃণমূল।
নিজের বক্তব্য অনড় জন বার্লাও। তিনি জানিয়েছেন এ ব্যাপারে তিনি রাজ্যকে বোঝাবেন, কেন্দ্রকেও বোঝাবেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা অবশ্যই দরকার। এই অঞ্চলে বিজেপি কর্মীরা হিংসার শিকার বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, প্রত্যেক জেলে কয়েক হাজার বিজেপিকর্মী বন্দী আছেন।