চাহিদামত কেন্দ্রের তরফে জোগান মেলেনি। তাই সমস্ত প্রস্তুতি সারা থাকলেও আজ থেকে বাংলায় শুরু করা গেল না আঠারোর্ধ্ব সব বয়সীদের করোনা টিকাকরণ। রাজ্য সরকারের আঠারোর্ধ্ব ২৯টি জরুরি ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের টিকাকরণ আগের মতো যেমন অগ্রাধিকার পাচ্ছিল, পাবে। কিন্তু আঠারোর্ধ্ব সাধারণ জনসংখ্যায় বিনামূল্যে টিকাকরণ এখনই শুরু হচ্ছে না। কেন্দ্র টিকার জোগান বাড়ালে ও জরুরি ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের টিকাদান শেষ হলে তখন শুরু হবে।
রবিবার রাতে এই খবর জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, শুরু হতে এখনও দু’সপ্তাহ লাগবে। আগে কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা দিক। না-হলে সকলকে টিকা দেব কী করে? এক পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, জোগান ঠিক থাকলে রাজ্য দিনে পাঁচ লক্ষ মানুষকেও টিকা দিতে পারবে। আগে আমরা দিনে পৌনে পাঁচ লক্ষ মানুষকেও টিকা দিয়েছি। এইসব নিয়ে আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। জরুরি ক্ষেত্রের সংখ্যা আরও বাড়বে কি না তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আঠারোর্ধ্ব অটিজম আক্রান্তদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হতে পারে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ জানাচ্ছে, বর্তমানে ১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি আরও ৬০টি অতিরিক্ত মেগা সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এক একটি মেগা সেন্টারে দিনে ৩০০-৪০০ জন নাগরিককে টিকা দেওয়া যায়। রোজ দু’শোর বেশি কেন্দ্রে ৫৫ হাজার নাগরিককে টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে পুরসভার। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ বলেন, আমরা প্রস্তুত। কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা না পাঠানোয় এই অবস্থা। সম্ভবত জুলাইয়ের আগে সম্ভব হবে না।