অবশেষে সত্যি হল জল্পনা। বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ নেতা তপন সিনহা। মুকুল রায়ের ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের দিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তপন সিনহার দলবদল নিয়ে মুখে কিছু না বললেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
মুকুল রায়ের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের দিনই একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিজেপির নেতা-কর্মীদের সম্মান জানান তপন সিনহা। মুকুল রায়কে তাঁর রাজনৈতিক ‘গুরু’ বলেও সম্বোধন করেন। মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন বলেও জানান তিনি। আরও জানান, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৈরি হওয়ার পর থেকেই তিনি সামলেছেন সহ-সভাপতির পদ। সাম্প্রতিককালে দলে থেকে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না বলেও ওই ভিডিও বার্তায় দাবি করেন। যদিও তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে কাউকে দোষারোপ করেননি তিনি। তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল ‘গুরু’ মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করেই ফের তৃণমূলে ফিরতে পারেন তপন সিনহা।
সেই সময় যদিও মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা সে ব্যাপারে কিছুই বলেননি। তবে শনিবার বিকালে গোবরডাঙার টাউন হলে সমস্ত জল্পনার অবসান। সেখানেই গোবরডাঙা পুরসভার প্রশাসক সুভাষ দত্তের হাত ধরে পুরনো দলে ফিরে আসেন তিনি। তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের দলে ফেরানো নিয়ে রাজ্যজুড়ে পোস্টার রাজনীতি চলছে। তবে তপন সিনহার বিরুদ্ধে সেই ধরণের কোনও পোস্টার এখনও চোখে পড়েনি। পদ্মশিবিরে কাজের পরিবেশ না থাকায় এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি। তপন সিনহার পাশাপাশি একই সঙ্গে গোবরডাঙা শহরের বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শর্মিষ্ঠা বালা রায়ও এদিন তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমুলে যোগ দেন। তাঁর দাবি, বিজেপিতে কাজ করতে পারছিলেন না। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতেই বহু মানুষকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ বলেও জানান শর্মিষ্ঠা।