দলবদলের জল্পনা এবার উস্কে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। ভোটের আগে আচমকাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন বাবু। জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে এ বার সেই বাবু বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শনিবার। মুকুলের দলবদলের পর, তাঁর সঙ্গে বাবুর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সূত্রেই জোরালো হচ্ছে বাবুর ফের দলবদলের সম্ভাবনা।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন বাবু মাস্টার। সিপিএম এবং তৃণমূল ঘুরে তিনি গিয়েছিলেন বিজেপি-তে। যদিও পদ্মশিবিরে যোগদানের পর থেকে তিনি থিতু হতে পারেননি তেমন ভাবে। কারণ, বাবুকে দলে নেওয়া নিয়ে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। মত ছিল না সঙ্ঘেরও। বিজেপি-র আদি পর্বের নেতাদের বক্তব্য, সিপিএম এবং তৃণমূলে থাকার সময়ে তাঁদের বহু কর্মীর উপরে অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে বাবুর বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই আপত্তি টেকেনি। ‘নব্যদের চাপে’ই বিজেপি-তে যোগ দেন বাবু।
সেই বাবু-ই শনিবার রায়সাহেবের দরবারে। যে ঘটনা ঘিরে তাঁর রাজনৈতিক গতিপথ নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভোটের আগে হামলার মুখে। ভোটের পর একদা ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ বাবু অবশ্য ছিলেন ‘নীরব’। দীর্ঘ দিন পর মুকুল-সাক্ষাৎ ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলল তাঁকে। তবে দলবদলুদের তৃণমূলে যোগদানের ক্ষেত্রে ‘আগে এলে আগে সুযোগ’, এমন মনোভাব যে পোষণ করা হচ্ছে না তা বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তাঁদের যে বাছাই করে নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে জো়ড়াফুল শিবিরের তরফে। অন্তত ২১ জুলাই ‘শহিদ দিবস’-এর আগে পর্যন্ত দলবদলুদের জন্য দরজা খুলবে না বলেই তৃণমূল শিবির সূত্রে খবর। বাবুও সেই দলেই পড়েন।