একুশের ভোটের আগে গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানো স্ট্যান্ডের ছড়াছড়ি দেখা যেত বাংলায়। রাষ্ট্রপ্রধানদের আদলে গাড়ির বনেটে বিজেপির পতাকা সাঁটিয়ে ঘোরাফেরা করতেন রাজ্য বিজেপির বহু নেতা। কিন্তু একুশের ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই বদলে গেছে ছবিটা। বাংলায় পদ্মের ভরাডুবির পর এখন ৮৫ শতাংশ ছাড়ে মিলছে মোদীজি গামছা। ১৩৯৯ টাকার গামছার দর নেমেছে ২১০ টাকায়। কুপন থাকলে আরও ১১ টাকা বাড়তি ছাড়। সম্প্রতি এমনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন শপিং অ্যাপে। বাংলার নির্বাচনের সময় গাড়িতে বিজেপির ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড লাগানোটা ‘স্ট্যাটাস সিম্বল’ হয়ে উঠেছিল। সেই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডই এখন ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ছাড়ে। বিজেপির উত্তরীয় থেকে পদ্মছাপ টি-শার্টেরও একই হাল। ঘোর বর্ষায় চৈত্র সেলের অফারকে হার মানালেও ক্রেতাদের সাড়া মিলছে না। নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হতেই হু হু করে দাম নামছে গেরুয়া শিবিরের প্রচার সামগ্রীর। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে এই তথ্য বিজেপির চিন্তার কারণ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কার্যত ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর’ হয়ে ওঠেন মোদী। যার ফলে মোদী কোর্ট থেকে মোদী ক্যাপ সবেরই বাজার তুঙ্গে ওঠে। অনলাইনে দেদার বিকতে থাকে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা দামের মোদী গামছাও। কিন্তু সেই গামছায় ৮৫ শতাংশ ছাড় দিয়েও এখন মিলছে না তেমন অর্ডার। বাংলার নির্বাচন পর্বে গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানো স্ট্যান্ডের ছড়াছড়ি ছিল। অনলাইনেও ব্যাপক বিক্রি হয়েছিল সেই পতাকা লাগানো স্ট্যান্ড। কিন্তু বাংলার ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে তার বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে। বিপুল ছাড় দিয়েও মিলছে না সাড়া। শুধু বাংলা নয়, দেশজুড়ে একই অবস্থা। আবার, একসময় পদ্ম ফুল আঁকা উত্তরীয় পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বর্তমানে সেইসব উত্তরীয় বিপুল ছাড় দিয়েও বিক্রি হচ্ছে না। ছাতিতে পদ্ম ফুল আঁকা বিজেপি টি-শার্ট বাজার গরম করে দিয়েছিল। এখন সেই টি-শার্টের ডিজাইন আপডেট করেও ক্রেতা নেই। বিজেপির প্রচার সামগ্রীর এমন নিম্নমুখী ট্রেন্ড স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বাড়াচ্ছে।