ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। প্রকাশ্যে কলহে জড়িয়ে পড়ছেন দলের নেতারা। এ হেন পরিস্থিতিতে হারের কারণ খুঁজতে বৃহস্পতিবার হেস্টিংসের দফতরে একটি হেভিওয়েট বৈঠক বসেছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সেই বৈঠকেই ফের একবার প্রকট হল বঙ্গ বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। প্রশ্ন উঠল, নির্বাচনের আগে কেন পুরনো কর্মীদের পিছনের সারিতে রাখা হল? সদ্য তৃণমূল ত্যাগ করে স্রোতে ভেসে আসা নেতাদের সামনে এনেই বা কেন বিজেপি সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়া হল মানুষকে? বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা শিবপ্রকাশ। বৈঠকে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তবে বিশেষভাবে প্রশ্ন ওঠে কৈলাস বিজয়বর্গীর ভূমিকা নিয়ে। বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যে তৃণমূল নেতাদের রীতিমতো জামাই আদর করে দিল্লী নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল, তাঁরাই এখন গলার কাঁটা হয়ে ফুটছে পদ্মশিবিরকে। ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূল নেতাদের গেরুয়া দলে ভিড়িয়ে নেওয়ার যে কর্মসূচী রাজ্যে শুরু হয়েছিল, তার নাম রাখা হয়েছিল ‘যোগদান মেলা’। সেই ‘যোগদান মেলা’ই এখন বুমেরাং হয়ে উঠেছে অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্যদের জন্য।সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিজেপি হেস্টিংসের দফতরে নির্বাচনী বিপর্যয় নিয়ে বৈঠকে হাজির থাকা মেনন রাজ্য নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। সূত্র আরও জানাচ্ছে, নির্বাচনে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেন। যেহেতু সংগঠন দেখার দায়িত্বে ছিলেন শিবপ্রকাশ, বাকি কেন্দ্রীয় নেতা এবং সহ-পর্যবেক্ষকেরা রণনীতি বাছাই এবং প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, তাই বিজয়বর্গীর অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে পড়েন অরবিন্দ মেনন।