করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। বিকল্প পদ্ধতিতে কীভাবে মূল্যায়ন হবে, শুক্রবার তা ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, নবম এবং দশম শ্রেণির ফলের ভিত্তিতে মাধ্যমিকের মূল্যায়ন করা হবে। কেউ যদি এই মূল্যায়নে অসন্তুষ্ট হন, তা হলে তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তবেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। পঞ্চাশ পঞ্চাশ ফর্মূলায় মাধ্যমিকের ফল। নবম শ্রেণির মার্কশিট এবং দশম শ্রেণির ইন্টারনাল পরীক্ষার ফল, এই দুই পরীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। নবম শ্রেণির পরীক্ষার ফল থেকে ৫০ এবং দশম শ্রেণির ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট থেকে ৫০ নম্বর নিয়ে মূল্যায়ন করা হবে।
২০১৯-এর মাধ্যমিকে যে চার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর তাতে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের উপর ৪০ শতাংশ এবং ২০২০-র একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় (থিওরি) প্রাপ্ত নম্বরের উপর ৬০ শতাংশ। এই ফর্মুলায় উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক দু’ক্ষেত্রেই মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে পড়ুয়াদের। তবে সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। মূল্যায়নের নম্বর সে ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। উল্লেখ্য, মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কীভাবে তা সম্ভব হবে শুক্রবার সেই বিষয়ে জানানো হবে বলে বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মতোই ফর্মূলা ঘোষণা করা হল দুই বোর্ডের তরফে।