রাজ্য বিজেপির অন্দরে এখন টালমাটাল অবস্থা। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই দলের এই চিত্র বেআব্রু হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে দলের অনুশাসন নিয়েই প্রশ্ন উঠছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশের পাশাপাশি মাঝারি ও নিচুতলার নেতারাও প্রকাশ্যে তোপ দাগতে শুরু করেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে ‘অবাধ্য’দের নিয়ন্ত্রণ এবং বেসুরোদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরে।
২মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার জন্য বিজেপি তে শো-কজ করা হয়েছে একমাত্র হুগলির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুবীর নাগকে। চুঁচুড়ায় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনায় তাঁর কিছু মন্তব্য রাজ্য নেতৃত্বর আপত্তিকর মনে হয়েছে। যদিও রাজ্য বিজেপির-র তাবড় নেতারা মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দল বিরোধী’ মন্তব্য করলেও সে সব ক্ষেত্রে এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে বলে অভিযোগ।
তথাগত রায় থেকে শুরু করে অনুপম হাজরা-গত একমাসে এ রকম অনেক বিজেপি নেতাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বর প্রতি নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভোটের মুখে অন্য দল থেকে আসা নেতারাও ইদানীং ফেসবুক-টুইটারে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। রাজ্য বিজেপি-র একাংশের প্রশ্ন, দলের পুরোনো নেতা সুবীর নাগকে শো-কজ করা হলে দলবদলু বেসুরো বিজেপি নেতাদের কেন কিছু বলা হচ্ছে না?
এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি-র এক সম্পাদক বলেছেন, “শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তো নিজেরাই দলীয় অনুশাসন মানছে না। দলবিরোধী মন্তব্য করছেন সবাই, সাজা দেওয়া হল মাত্র একজনকে! ভোটের মুখে অন্য দল থেকে আসা নেতাদের কেউ কেউ তৃণমূলের দিকে পা-বাড়িয়ে আছেন। প্রকাশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করছেন। এ সব কি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চোখে পড়ছে না?”