একুশের নির্বাচনে হাই ভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর ভোটযুদ্ধে মাত্র ১৯০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন শুভেন্দু। সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই নন্দীগ্রামের ভোটের পুনর্গণনার দাবি তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মামলার শুনানি আজ হওয়ার কথা থাকলেও তা পরবর্তী সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হল। এই মামলার শুনানি হবে আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার। জন প্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এই ধরনের মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। তবে এদিন আদালতে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সময় আদালতে হাজির থাকতে পারেন মমতা নিজে।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুন হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূল নেত্রী দাবি জানান, নন্দীগ্রামের ভোটের পুনর্গণনা হোক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা সেই মামলার। তবে এদিন শুনানি শুরু হতেই তা পিছিয়ে দেওয়া হয় আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ২ মে, ভোটের ফলপ্রকাশের দিন ১৭ রাউন্ড ভোটগণনার পর সংবাদ সংস্থার তরফে খবর প্রকাশ করে জানানো হয় যে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সন্ধ্যায় হঠাতই জানা যায় মমতা পিছিয়ে পড়েছেন। এবং শেষমেশ ১৭৩৬ ভোটে শুভেন্দুর জয়ের খবর আসে। তারপর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। কারণ মমতার জয়ের কোনও তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসারকে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে মমতার তরফে। প্রশ্ন ওঠে শুভেন্দুর জয় নিয়ে। এরপরই মমতা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি নন্দীগ্রামের রায়কে মেনে নেবেন না। সেই মতো হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।