গত ২মে ভোটে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রথমদিন থেকে একের পর এক আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। তবে কোনও প্রত্যুত্তর দিতে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য নয়াদিল্লীতে গিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে নীরবতা ভেঙে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে গিয়ে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দিল্লী সফর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উনি কার সঙ্গে দেখা করবেন ওঁর ব্যাপার। উনি তো ওদেরই লোক। আসা-যাওয়ার গান ওরাই গায়। রাজ্যপাল বদলালে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। আমি তো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি, ওঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়কেরাও। রাজভবনে চা-চক্র শেষ করে বিরোধী দলনেতাকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিন তিনি। এই প্রসঙ্গে সরাসরি উত্তর না দিলেও তিনি বলেন, “ওরা টুইটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই ধ্বংস করতে চাইছে। এখন আমাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, তাই বুলডোজ করতে চাইছে।”
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গকে ভাগ করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন তিনি। এমনকী উত্তরবঙ্গেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। এটাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে চায় বিজেপি, এমনই অভিযোগ উঠেছে। যদিও তা অস্বীকার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘর থেকে হুঁশিয়ারি দেন, “বাংলা ভাগ যে করতে আসবে, সে বুঝবে বাংলার একতা কতটা জোরদার, কতটা শক্তিশালী। বঙ্গভঙ্গ আমরা করতে দেব না। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে কী? দার্জিলিঙের জমি বিক্রি করে দেবে! আলিপুরদুয়ারের জমি বিক্রি করে দেবে!”