নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন নাতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা ও আসিফ ইকবাল তানহা। কিন্তু দিল্লী দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গতবছর মে মাসে ছাত্র সংগঠনের ওই তিন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবশেষে গত মঙ্গলবার তাঁদের জামিন দেয় দিল্লী হাইকোর্ট। কিন্তু বুধবার অবধি তাঁরা জেল থেকে মুক্তি না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার দিল্লীর এক আদালত তিনজনকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রবীন্দর বেদির কাছে পুলিশ আর্জি জানিয়েছিল, ধৃতদের আরও তিনদিন জেলে রাখা দরকার। তাঁদের ঠিকানা ও জামানতের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সময় লাগবে। কিন্তু বিচারক বলেন, হাইকোর্ট তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বন্দীদের রিলিজ অর্ডার পৌঁছেও গিয়েছে তিহার জেলে।
নিম্ন আদালত তাঁদের মুক্তির রায় দেওয়ার আগে বন্দীরা দিল্লী হাইকোর্টে আপিল করেন। তাঁরা বলেন, উচ্চ আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরে তাঁদের ২৪ ঘণ্টার বেশি জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তা পুরোপুরি বেআইনি। এক্ষেত্রে হাইকোর্টও অসন্তোষ প্রকাশ করে জানায়, বন্দীদের আধার কার্ডের নম্বর পরীক্ষা করা হচ্ছে কেন? পুলিশ কি যথাযথভাবে আইন মেনে চলছে?
উল্লেখ্য, ধৃত তিনজন গতবছর নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট তাঁদের জামিন দিয়ে বলে, প্রতিবাদ করার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু বুধবার পুলিশ কোর্টে আর্জি জানায়, তিনজনকে আরও কিছুদিন জেলে রাখতে অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ তাঁদের ঠিকানা ও জামিনের ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে। হাইকোর্ট বলেছিল, বুধবার দুপুর একটার মধ্যে তিনজনকে মুক্তি দিতে হবে। পুলিশ সেই নির্দেশ মানেনি।