রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে বনাম রাজ্য সরকার সংঘাত অব্যাহত। এই আবহে কি রাজ্যপালকে সরানো হচ্ছে? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘ওঁকে সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ২-৩ বার চিঠি লিখেছি’।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল যখন করা হয়েছিল, আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি। নিয়ম হচ্ছে, রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করে করতে হবে’। অন্যদিকে, রাজ্যপালকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘একটা বাচ্চা হলে বকে চুপ করানো যায়’। উল্লেখ্য, দিল্লি সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কয়লামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেছেন ধনখড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা ধনখড়ের। যা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি রাজ্যের নামে নালিশ করতেই দিল্লীতে রাজ্যপাল?
প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বারবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৫০ জন বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর তার পরের দিনই দিল্লী উড়ে যান রাজ্যপাল। অন্যদিকে, একুশের নির্বাচন পরবর্তী বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে সোচ্চার হন দুই বিজেপি নেতা। ৩৫৬ ধারা জারি নিয়ে সরব হন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারকে বলছি, আইন অনুযায়ী ৩৫৬ ধারা জারি করুন’।