একুশের ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে পরাজিত হলেও তাঁর পরিশ্রম এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি দেখে তাঁর কাঁধে সংগঠনের বড় দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। আর নয়া দায়িত্ব পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন সায়নী ঘোষ। এতদিন এআইটিসি-র পেজ থেকে যুব সংগঠনের কাজ চলছিল। এবার সংগঠনের সভানেত্রী হয়েই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নয়া সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরির উদ্যোগ নিলেন তিনি। লক্ষ্য আরও বেশি করে যুব সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছন। বুথ ভিত্তিক সংগঠনে জোর দেওয়া হবে। প্রচার কৌশলেও বদল আনা হচ্ছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, সদ্য দায়িত্ব পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি জোর কদমে শুরু করেছেন হোমওয়ার্ক। লকডাউনের কারণে জেলায় জেলায় সাংগঠনিক বৈঠক করতে না পারলেও আগামী দিনে যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশি করে ব্যবহার। মূল সংগঠনের সোশ্যাল মিডিয়াতে পেজ থাকলেও এতদিন দলেন যুব সংগঠনের কোনও পেজ ছিল না। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল যুব সংগঠনের পেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। যার মূল লক্ষ্য, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে যুবর কর্মকাণ্ডকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া। এবং সারা দেশজুড়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো। বুথে বুথে অন্তত ১০-১২ জন অ্যাক্টিভ সদস্য তৈরি করা।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যেমন বাংলায় নতুন ভোটারের অধিকাংশ ভোট তৃণমূলের দখলে ছিল, তেমনই ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে সারাদেশের যুবর সমর্থন পেতে এখন থেকেই পুরোদমে সংগঠনকে মজবুত করে মাঠে নেমে পড়তে চাইছেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী। সংগঠন সূত্রে খবর, জেলা সফর শুরুর আগে কলকাতায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচী পালন করা হবে। বড় জমায়েত এড়িয়ে ছোট ছোট জমায়েত করা হবে। স্ট্রিট কর্ণার করা হবে। এছাড়া এই সব সভা থেকে পাওয়া যাবে নতুন কিছু মুখ৷ ইতিমধ্যেই সায়নীর তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে জেলা সভাপতিদের সঙ্গে৷ করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হয়েছে।