দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। গতবারের মতো কেন্দ্র এবার দেশজোড়া লকডাউনের পথে না হাঁটলেও সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি দেশের নানা প্রান্তে ছোট ছোট কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলে কমেছে নানা পণ্যের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের জুনের মাসিক বুলেটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাতে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে ২ লক্ষ কোটি টাকা। কারণ অতিমারীর ফলে দেশের অভ্যন্তরে কমেছে চাহিদা।
মে মাসের শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের অর্থনীতিতে একপ্রকার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে স্বল্পমেয়াদে অর্থনীতির বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। বেসরকারি ক্ষেত্রে চাহিদা বাড়লে তবেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে, কোভিড পরবর্তী সময়ে জিডিপির বিকাশের জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়োগ হওয়া চাই। সাধারণত কোনও সংকটের পরে বাজারে যদি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তাহলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া যদি বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, তাহলেও অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে বহু সংখ্যক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়। তখন বাজারে নানা পণ্যের চাহিদা বাড়ে। অর্থাৎ পুঁজি বিনিয়োগও পরোক্ষে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
গত সপ্তাহের শেষে নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত বলেন, ‘একটা ব্যাপার খুবই স্পষ্ট যে, অতিমহামারীর আগে যেভাবে ব্যবসা চলত পরে সেভাবে চলবে না। ব্যাবসার নিয়ম কানুন আরও সহজ করতে হবে।’ পরে তিনি বলেন, ‘ব্যবসার জন্য আমরা অনেক নিয়ম ও বিধিনিষেধ তৈরি করেছি। সেগুলি বাতিল করতে হবে। তবেই ব্যবসা করা হয়ে উঠবে সহজতর।’ অমিতাভ কান্ত বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলেই চাঙ্গা হবে অর্থনীতি। সরকার এখন সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।