বুধবার সকালেই সুন্দরবনের গোসাবায় ছুটেছিলেন তিনি। তারপর সারাদিন সেখানেই ব্যস্ত ছিলেন ত্রাণ বিতরণে। মাঝে একবার লাইভ এসেছিলেন বটে, কিন্তু জামাইষষ্ঠীর দিন জামাই সুলভ সাজপোশাকে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে জামাইষষ্ঠীর পরের দিনেই এবার মালকোঁচা ধুতি আর হলুদ পঞ্জাবি পরে লাইভে হাজির মদন মিত্র। বললেন, ‘৩৬৫ দিনই জামাইষষ্ঠী খেতে পারতাম, আহা! কোনওটা মা রেঁধেছে, কোনওটা মেয়ে। প্রতিদিন নতুন নতুন বউ দেখালে সেটাও নাহয় দেখতাম…’
সারারাত বৃষ্টির জেরে ভাসছে গোটা শহর। উত্তর থেকে দক্ষিণ জল থইথই সর্বত্র। এদিন নিজের ফেসবুক লাইভে সে কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি মদন। কামারহাটির বিধায়ক জানান, কলকাতা জলের তলায়। সবাই জিজ্ঞাসা করছে এই পরিস্থিতিতে আমি কী করে এই পোশাক পরে রয়েছি। জামাইষষ্ঠীর দিন বাঁশি বাজাইনি, তাই এই ড্রেস পরা হয়নি। রাতে যখন শুতে যাচ্ছি তখন মনে হল এই লাইভে আসা উচিত। বছরের ৩৬৫ দিন জামাই হতে পারতাম। আহা আম দই, মাংস কোনওটা মা রেঁধেছে কোনওটা মেয়ে। প্রতিদিন নতুন নতুন বউ দেখালে সেটাও নাহয় দেখতাম। কিন্তু বিয়ে করতাম না। বউ একটাই। পালাবে না। এসএসকেএম-এর করিডোরের পর ফের এদিন গান শোনা যায় মদন মিত্রের কণ্ঠে।