এবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। রাখাল এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
ত্রিপল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি গত কয়েকদিনে অস্বস্তি বাড়িয়েছে দুটি ফৌজদারি মামলা আর তার প্রেক্ষিতে উঠে আসা দুটি নাম- রাখাল বেরা ও চঞ্চল নন্দী। দুজনেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ দাবি করছে। পুলিশের দাবি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এই দুজনের যুগলবন্দিই চাকরির নামে প্রতারণা চক্র চালিয়ে গিয়েছে কয়েক বছর। পূর্ব মেদিনীপুরের সূত্র ধরেই শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা। রাখাল বেরা আপাতত পুলিশি হেফাজতে আর রাডারে রয়েছেন চঞ্চল।
দুজনের যুগলবন্দিতে ২০১৮-২০১৯ এর মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণা হয়েছে। রাখাল এখন পুলিশের জালে। তবে চঞ্চলের টিকি এখনও ছোঁয়া যায়নি। পুলিশ রাখালের পাশাপাশি চঞ্চলকেও জেরা করতে চায়। কারণ তাহলেই প্রতারণা চক্রের পিছনে থাকা আসল রাঘব বোয়াল পর্যন্ত পৌঁছানো যাবে। পুলিশের দাবি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এই দুজনের যুগলবন্দিই চাকরির নামে প্রতারণা চক্র চালিয়ে গিয়েছে কয়েক বছর।
বয়স ৬৮-র রাখাল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বাসিন্দা। কলকাতা ও দিঘাতে তাঁর বিপুল সম্পত্তি। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁকুরগাছিতে তাঁর ছাপখানার ব্যবসা রয়েছে। দিঘাতে হোটেল ব্যবসা রয়েছে রাখালের। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপুল সম্পত্তির অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী কলকাতায় এলেই ছায়াসঙ্গী হিসাবে দেখা যেত রাখালকে। কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর পারিবারিক ব্যবসা, ফ্ল্যাট-সবেরই দেখভালও করতেন তিনি।
মানিকতলায় একটি ছাপাখানা রয়েছে রাখালের। তবে পুলিশ বলছে, এর আড়ালেই আসলে তাঁর মূল কাজ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন সম্পত্তির দেখাশোনা করা। কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারী এলে, তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসাবে থাকতেন রাখাল। এমনকি শুভেন্দু রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অনেকেই পুলিশকে জানিয়েছেন, শুভেন্দুর সঙ্গে রাখালকে অনেক জায়গাতেই দেখা যেত। তবে এক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী তথ্যও এসেছে পুলিশের হাতে। পূর্ব মেদিনীপুরের যাবতীয় সমবায় ব্যাঙ্কের নথিপত্র ছাপা হত রাখাল বেরার ছাপাখানা থেকেই।