পরিবহণ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবার গণপরিবহণে রোপওয়ে, মনোরেল চালু করার ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় মেট্রো রেল সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নর্থ–সাউথ মেট্রো প্রকল্পের পাশাপাশি ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো, জোকা–বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্প সহ একাধিক মেট্রো প্রকল্প রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে পরিবহণ ব্যবস্থায় আরও গতি আনতে তৎপর হল পরিবহণ দফতর।
ফিরহাদ জানান, রাজ্যে পরিবহণকে কীভাবে ঢেলে সাজানো যায়, সেকথা ভাবা হচ্ছে। যেখানে মেট্রো পৌঁছোবে না, সেখানে লাইট ট্রান্সপোর্ট অর্থাৎ রোপওয়ে, মনোরেল চালু করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, জলপথ পরিবহণকে ঢেলে সাজানো হবে। এই বিষয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। রেলকে বলা হয়েছে, গঙ্গার ধারের চক্ররেলকে উপরে তুলতে। না হলে মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে আসতে।এটা না হওয়ার জন্য গঙ্গার ধারের কাজের সমস্যা হচ্ছে।একইসঙ্গে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর পক্ষেও সওয়াল করেন পরিবহণ মন্ত্রী।এই বিষয়ে তিনি জানান, “যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে, তাতে অনেক সংস্থার সঙ্গেই কথা বলেছি ইলেকট্রিক গাড়ি চালু করার জন্য।”
ইতিমধ্যেই মেট্রো রেল প্রকল্পের নির্মাণকারী সংস্থাগুলির কাছে রাজ্যের তরফে জানতে চাওয়া হয়, কবে কোন প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সম্প্রসারিত মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ শেষের ওপরেই নির্ভর করছে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে নতুন রূপরেখা তৈরির ভবিষ্যৎ। এই প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, মেট্রো রেলের সঙ্গে কথা বলেছি। যে প্রকল্পগুলি চালু আছে, সেগুলি কবে শেষ হবে তা রাজ্যের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মেট্রো রেলের দুই মির্মাণকারী সংস্থা জানিয়েছে, নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর রুটের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস। পরের বছর মার্চের মধ্যে জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে মেট্রো রেলের কাজ শেষ করার কথা। পাশাপাশি পরের বছর জুনের মধ্যে শেষ হতে পারে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ। রাজ্য সরকারের তরফে মেট্রো রেলের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব।