তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই মুকুল রায়কে পাশে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ওকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ধমকে–চমকে ভয় দেখানো হয়েছিল’। এবার সেই বক্তব্যেই সিলমোহর দিলেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়। বললেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। নেত্রী সবটা জানেন’। পাশপাশি ৩০ জনের বেশি বিধায়ক বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসতে চান বলেও দাবি করেন শুভ্রাংশু।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মুকুল রায় চাপে ছিলেন। এমনই দাবি পুত্র শুভ্রাংশুর। এমনকী মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুভ্রাংশু বলেন, ‘বাবা ওখানে বড় আপসেট ছিল। আমাকে বলেছিল তুই জিততে পারবি কিনা। যেভাবে বাবা চলেন সেটা এবার দেখা যায়নি। বাবা ঠিক মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। কোথাও না কোথাও একটা সমস্যা হচ্ছিল। আমার পক্ষেও মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিনই হচ্ছিল’।
কেন মানিয়ে নিতে পারছিলেন না? এই প্রশ্নের জবাবেই বিস্ফোরক শুভ্রাংশু বলেন, ‘বাবার ক্ষেত্রে সত্যিই একটা চাপ ছিল। মানসিক চাপ যদি থাকে তাহলে শরীর–স্বাস্থ্য কোন অবস্থায় যেতে পারে সেটা আমি নিজে চোখে দেখেছি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে আগেও ভয় দেখানো হয়েছিল। এখনও ভয় দেখানো হচ্ছে। সবটাই আমাদের নেত্রী জানেন’।
বিজেপির ভাঙন নিয়েও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়, ‘কতজন তো যোগাযোগ করেছেন। তাঁরাও চাইছেন বাংলার নেত্রী ভারত শাসন করুক। এই সংখ্যাটা প্রায় ৩০–এর উপর আমি জানি। এখানে বিধায়কের পাশাপাশি সাংসদও কয়েকজন আছে’। শুভ্রাংশুর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর দাবি, মুকুল রায় নামটা এবার মীরজাফর রায় হিসাবেই থাকবে।’