একা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রক্ষে নেই, দোসর মূল্যবৃদ্ধি! হ্যাঁ, এই দেশজোড়া করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে আকাশছোঁয়া দাম নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। তালিকায় রয়েছে ডাল, সবজি ও ভোজ্য তেলের মত নিত্য আবশ্যিক জিনিসপত্র। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খনিজ তেলের দামও। গত এপ্রিল মাসে পাইকারি দ্রব্যের মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ১০.৪৯ শতাংশ। ঠিক একমাস পরে সেই রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়ে তা। মে মাসের শেষে পাইকারি মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ১২.৯৪ শতাংশ। এই প্রথম টানা দু’মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার একটানা দুই অঙ্কের সীমা অতিক্রম করেছে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত বছরে অর্থাৎ করোনা অতিমারির প্রথম পর্যায়ে ভারতের পাইকারি বাজারে মুল্যস্ফীতির হার ছিল -৩.৩৭ শতাংশ। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই মূল্যস্ফীতির হারে এরকম বদল কীভাবে? অর্থনীতিবিদদের একাংশের ধারণা, অতিমারির দ্বিতীয় ধাক্কায় অত্যন্ত খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদির একদম নিচের স্তর। এই ক্ষতির ফলেই প্রবলভাবে আক্রান্ত হয়েছে দেশের পাইকারি বাজার। গোদের উপর বিষফোড়ার মত যুক্ত হয়েছে একাধিক প্রয়োজনীয় সামগ্রির মূল্যবৃদ্ধি। সব মিলিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে নাগরিকদের।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডাল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১২.০৯ শতাংশ ও ২৩.২৪ শতাংশ। ফলের দাম বেড়েছে ২০.১৭ শতাংশ ও তেলবীজের দাম বেড়েছে ৩৫.৯৪ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধির হার সবথেকে বেশি অপরিশোধিত পেট্রোলিয়মের ক্ষেত্রে। সেখানে দাম বাড়ার পরিমাণ ১০২.৫১ শতাংশ। পেট্রোল ও ডিজেলের দামেও এসেছে বেশ বড় রকমের বদল। ৬৬.৩ শতাংশ দাম বেড়েছে ডিজেলের। পেট্রোলে বৃদ্ধির হার ৬২.২৮ শতাংশ। পেঁয়াজ ছাড়া অন্য সবজি ও কাঁচা আনাজের ক্ষেত্রে বর্ধিত দামের পরিমাণ ৫১.৭১ শতাংশ। উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের শেষে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.৪৯ শতাংশ। যা মে মাসে এসে প্রায় ৭.৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।