একে এক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন কর্মীরা। স্বভাবতই চাপে গেরুয়াশিবির। এবার তৃণমূলের মহাসচিবের বাড়িতে আরও এক বিজেপি বিধায়ক। সোমবার এই সাক্ষাৎ ঘিরে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের সেই বিধায়কের দাবি, নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন সন্ধেয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা। দুজনের মধ্যে বেশকিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। এর পরই তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রশ্ন ওঠে তবে কি এবার বিজেপি ছাড়ছেন মনোজ টিগ্গাও?
যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ বিজেপি নেতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে টিগ্গা জানান, “পার্থবাবুর মাতৃবিয়োগ হয়েছে। তাই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” তাঁর এ হেন বিবৃতির পরও অবশ্য জল্পনা থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই। বাংলায় ভোটে হারের পর থেকেই বিজেপির অন্দরের কোন্দল স্পষ্ট হয়েছে। বেসুরো ছোট থেকে বড় বহু নেতাই। বিভিন্ন এলাকায় দল ছাড়ছেন প্রাক্তন তৃণমূলীরা। কোথাও আবার নেতৃত্বের উপর অভিমান করে দল বিমুখ হচ্ছেন নেতারা। এবার কি সেই তালিকায় নতুন নাম জুড়ল। মনোজ টিগ্গার ? অব্যাহত জল্পনা।
উল্লেখ্য, ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা ছিলেন মনোজ টিগ্গা। এবার ভোটে হারলেও ৭৭টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার টিগ্গার বদলে বিধানসভায় বিজেপির ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। ফলে ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষোভে কি দল ছাড়ছেন টিগ্গা, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, রবিবারই মাতৃবিয়োগ হয়েছে তৃণমূলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। খবর পেয়েই তাঁর বাড়িতে ছুটেছিলেন বিজেপির আরেক বেসুরো নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকালে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।