রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ কমেছে, তাতে ১৫ই জুনের পর থেকে শিথিল হতে পার বিধিনিষেধ। এমনই ইঙ্গিত মিলছে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে। সম্ভবত একথা ধরেই আগামী ২১শে জুন থেকে সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ শুরু করে দিতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা ওয়েস্টবেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। প্রায় ৩৫০০ ডাক্তার নিয়োগের জন্য ঝাঁপাচ্ছে তারা। দু’হাজারের বেশি মেডিক্যাল অফিসার এবং ১৩০০ স্পেশালিস্ট।
প্রসঙ্গত, করোনাবিধি মানতে এই প্রথম কোনও সরকারি নিয়োগ সংস্থা ইন্টারভিউয়ে আসতে চলা চাকুরিপ্রার্থীদের জন্য একসঙ্গে দু’টি সতর্কতা নিচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান পি কে সুর বলেন, বিধিনিষেধ যদি ওঠে, ২১শে জুন থেকে ইন্টারভিউ শুরু হবে, চলবে ৭ই জুলাই পর্যন্ত। হাজির হওয়া প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকে (৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা) কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আনতে হবে। এছাড়া বোর্ডের অফিসেই আমরা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের আয়োজন করছি। রোজ ২০০ জনের ইন্টারভিউ হবে। যাঁদের আরটিপিসিআর এবং র্যাট পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, ১০ দিন পর একটি নির্ধারিত সময় ইন্টারভিউতে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
সূত্র অনুযায়ী, মেডিক্যাল অফিসার পদে ১২০০ জনের বেশি কিছু ডাক্তার নিয়োগ করা হবে। আবেদন জমা পড়েছে আড়াই হাজারের বেশি। ডাক্তারের আকালের এই সময়ে বোর্ড চাইছে এই সুযোগে সরকার নতুন পদ তৈরি করে ২৫০০ জনকেই নিয়োগ করুক। অন্যদিকে, ১৩০০ বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল অফিসারের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৮৫৩ জনের। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার সরকারে আসতে না আসতেই সরকারি চাকরিতে ফের বড়সড় নিয়োগ শুরু হয়ে গেল। রাজ্যের সবথেকে বড় কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) অবশ্য এই মহামারীকালে ভরসা রেখেছে অনলাইন নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই। করোনা পর্বের মধ্যেই তারা ডব্লিউবিসিএস এ এবং বি, মোটর ভেহিকেল ইনসপেক্টর, মার্কেটিং অফিসার প্রভৃতি পদে অনলাইন ইন্টারভিউ সেরে ফেলেছে। এপ্রসঙ্গে পিএসসি’র চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু বলেন, এসে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দেওয়ার তুলনায় অনলাইনে পরীক্ষার্থীদের বেশি সুবিধা হচ্ছে। এটা নিরাপদও বেশি। তাঁর দাবি, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের পিএসসি’ই করোনা মহামারীর মধ্যেও চালু রেখেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।