গত ২০১৯-এ রাজ্যপাল হিসেবে বাংলায় পদার্পণ করেছিলেন। তার পর থেকেই একের পর এক নানা সিদ্ধান্তে এবং বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি। লর্ড কার্জনের স্তুতি থেকে শুরু করে টুইটারে খোলাখুলি রাজ্যে ‘আসল’ পরিবর্তনের ডাক দেওয়া, আবার পান থেকে চুন খসলে ‘অপমানিত বোধ করা’, এমনকি রাজভবনের বাইরে ভেড়া নিয়ে প্রতিবাদ করায় পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া- জগদীপ ধনকরের সমস্ত কার্যকলাপই বাংলার মানুষের কাছে এক প্রকার বিনোদন হয়ে উঠেছে।
রাজ্যপালের আসনে থাকাকালীন নিরপেক্ষতাই আশা করা হয় কোনও ব্যক্তির কাছে। কারণ তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু জগদীপ ধনকর সাংবিধানিক রীতিনীতির ঊর্ধ্বেই মনে করেন নিজেকে। তাই তো, গতবছর অক্টোবর মাসে তিনি একটি টুইট করেন যেখানে একটি ছবিতে দেখা যায় আরএসএস এর সুধীর নামক এক ব্যক্তির পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যকে দোষারোপ করছেন তিনি।
এবার বিতর্কের মুলে জনৈক অনুরাগ সাক্সেনা, যিনিও আরএসএস এর সাথে যুক্ত। দেখা যাচ্ছে, আগামী ১৫ জুন তিনি একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং সেটি আয়োজন করেছে আরএসএস ঘেঁষা একটি সংগঠন। এবং সেই অনুষ্ঠানের পোস্টারটি পাঠিয়েছেন এই জনৈক অনুরাগবাবু।
রাজ্যপাল ধনকর যে বিজেপির প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করেন তা সর্বজনবিদিত। বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর যখন হিংসার ঘটনা জনসমক্ষে আসে তিনি বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাতেই সরব হন। তৃণমূল কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার কথা তাঁকে স্মরণ করানো হলে সকৌশলে এড়িয়ে যান প্রসঙ্গ। রাজ্যপাল হওয়ার আগে উনি যে আরএসএস এর সক্রিয় সমর্থক ছিলেন, সেটিও কারও অজানা নয়। আর সেই মনোভাব যে এখনও পাল্টায়নি, তাঁর হাবভাবে তা ভীষণভাবে স্পষ্ট।