সম্প্রতি, লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের সমালোচনা করায় দেশদ্রোহের মামলা রুজু হয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চলচ্চিত্র পরিচালক আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার সেই অভিযোগের বিরোধিতা করলেন বিজেপিরই একাধিক নেতা। কেবল বিরোধিতা করাই নয়, অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যে ও অনৈতিক দাবি করে দলও ছাড়লেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম খোদ লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মুল্লিপুঝা। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের সভাপতি আবদুল কাদেরকে চিঠি দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ওই নেতারা। সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন, যে সময়ে লাক্ষাদ্বীপের বিজেপি কর্মীরা প্রশাসক প্রফুল্ল প্যাটেলের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সেই সময়ে আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। এইভাবে তাঁর ভবিষ্যৎ ও পরিবারের ক্ষতি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ গেরুয়াশিবিরের প্রতিবাদী নেতাদের।
পাশাপাশি প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, “প্রফুল্ল যা করছেন তা জন-বিরোধী, গণতন্ত্র-বিরোধী ও এর ফলে সাধারণ মানুষকে অত্যন্ত দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, এর আগে গত মে মাসেও আটজন বিজেপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলের সিদ্ধান্তগুলির প্রতিবাদ করে পদত্যাগ করেছিলেন। সম্প্রতি মালয়ালম টিভি চ্যানেল ‘মিডিয়াওয়ান টিভি’তে এক বিতর্কসভায় আয়েশা দাবি করেন, লাক্ষাদ্বীপের মানুষের উপরে করোনা ভাইরাসকে ‘জৈব অস্ত্র’ হিসেবে প্রয়োগ করছে মোদী সরকার! তিনি বলেছিলেন, “করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা শূন্য থেকে দৈনিক একশোয় পৌঁছে গেল কী করে? এটাকে ওরা জৈব অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করছে। আমি একেবারে হলফ করে বলতে পারি। করোনাশূন্য একটা জায়গায় কেন্দ্র যে এই জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করেছে তা পরিষ্কার।” বিতর্কের সূত্রপাত এই মন্তব্য থেকেই। কেবল দেশদ্রোহিতা নয়, বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও আনা হয়েছে লাক্ষাদ্বীপের প্রথম চলচ্চিত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুদিন ধরেই লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে বিতর্ক চলছে। প্রফুল্ল পটেল এখানে নতুন প্রশাসক হয়ে আসার পর থেকেই নানা অভিযোগ উঠে আসছে। এবার আয়েশার মন্তব্য ঘিরে তৈরি হল নয়া বিতর্ক।