মল-মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না। সবল হয়। তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া নেতাদের সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। শুক্রবার সকালে একটি টুইট করেছেন তথাগত। তাতেই পরোক্ষে তৃমমূলমুখী নেতানেত্রীদের মল ও মূত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিজেপি-র এই ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা। তাঁর এই টুইট নির্বাচনের ফলাফলে ইতিমধ্যেই ধ্বস্ত বিজেপি-তে এখন আবার কী জলঘোলা করে, সেটাই দেখার।
তথাগত রায় টুইটে লিখেছেন, ‘তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে সব নেতা আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন তাঁদের সম্বন্ধে আমি প্রয়াত সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি। ”মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না, সবলই হয়। ১৯৬৪ সালে যখন কম্যুনিস্ট পার্টি ভাঙে তখন সিপিআই নেতাদের সম্বন্ধে এই উক্তি’।
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননকে হারের জন্য দায়ী করেছেন পর পর টুইটে। চার নেতার নামের আদ্যাক্ষর ব্যবহার করে ‘কে’, ‘এস’, ‘এ’, ‘ডি’ লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছেন তথাগত। যার জন্য তাঁকে দিল্লিতে তলবও করা হয়েছে সম্প্রতি। দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বার বার আক্রমণ শানানোয় তথাগতকে সতর্ক করেছিল দল। বস্তুত, নেটমাধ্যমে ‘দলবিরোধী মন্তব্য’ রুখতে সম্প্রতি একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিও তৈরি করেছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে সেই কমিটির কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত। যা থেকে স্পষ্ট যে, ওই কমিটিকে তিনি আমল দিচ্ছেন না। কথার পর এ বার শুক্রবারের টুইটে কাজেও করে দেখালেন তথাগত।
তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের কোনও কাজকর্ম নেই। এটি টুইট সর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। তথাগত রায়কে শেষ পর্যন্ত হরেকৃষ্ণ কোঙারের উদ্ধৃতির পুনরাবৃত্তি করতে হল। অর্থাৎ এক সময়ের সিপিএমের ডাকসাইটের নেতার শরণাপন্ন হতে হল। যাঁদের উদ্দেশ্যে এই শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন, তাঁদেরকে তাঁরই দল চাটার্ড বিমানে করে দিল্লীতে নিয়ে গিয়েছিল! তাঁদেরকে নেওয়ার পরিণতি তো বিজেপি দেখল’।