হঠাৎই ঘুরে গেল জীবনের মোড়। বছরসাতেক আগে তিনি যখন নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন যে তাঁর জীবন থেকে খেলাধুলো বিদায় নিয়েছে। এবার বোধহয় ম্যানেজমেন্ট পড়াই লক্ষ্য তাঁর। কিন্তু মনের ভেতরের তিলতিল করে গড়া তোলা স্বপ্নকে হারিয়ে যেতে দেননি অভিনব মানোতা। আর সেই জন্যেই তিনি যাচ্ছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে। তবে ভারত নয়, নিউজিল্যান্ডের হয়ে। ২০১২-এ পঞ্জাবে একটি ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন অভিনব। ক্রাইস্টচার্চে ম্যানেজমেন্ট পড়তি গিয়েও খেলাধুলোকে ভুলে যাননি। নিয়মিত চালিয়ে গিয়েছিলেন অনুশীলন। টোকিয়োয় বিশ্বের তাবড় খেলোয়াড়দের পাশে দেখা যাবে তাঁকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনবের বাবা লভলিন কুমার জানিয়েছেন, “অভিনব টোকিয়ো অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করতে চলেছে, এটাই আমাদের পরিবারের সবথেকে বড় ঘটনা। আমরা জানতাম নিউজিল্যান্ডে গেলেও ও ব্যাডমিন্টনকে ভুলে যাবে না।” লভলিন নিজেও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকী, বাবাকে দেখেই এই খেলায় হাতেখড়ি অভিনবের। কিন্তু লভলিন বলেছেন, “আমার স্বপ্ন ছিল ছোট। তাই শুধু পঞ্জাবে জয়ী হয়েছি এবং সারাজীবন জাতীয় স্তরে পদকের স্বপ্ন দেখে গিয়েছি।” বাবার স্বপ্ন পূরণ করে দিলেন ছেলেই। জাতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। কিন্তু তার চেয়েও বড় জিনিস হাসিল করে ফেলেছেন। বর্তমানে বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১০৩ নম্বরে রয়েছেন তিনি। তবে অলিম্পিক্সে যাচ্ছেন ওশেনিয়া কোটায় সুযোগ পেয়ে। ব্যাডমিন্টন মূলত এশিয়া প্রধান খেলা হলেও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও এই খেলা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ওশেনিয়ার প্রতিনিধি হয়ে সুযোগ পেয়েছেন অভিনব।