করোনা আবহে যেখানে সাধারণ মানুষের জীবন নির্ধারণ করাই একপ্রকার কঠিন হয়ে পড়েছে, সেখানে চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি পরিচালিত কোম্পানিগুলির শেয়ারের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। তার ফলে অতিমহামারীর মধ্যেও আদানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৪৩০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এর ফলে এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন ওই শিল্পপতি। এখন তাঁর মোট সম্পত্তির মূল্য ৭৬৭০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ৫ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
চলতি বছরে আদানির কোম্পানি টোটাল গ্যাস লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৩০ শতাংশ। আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৬৩ শতাংশ। আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৫ শতাংশ। গত ১০ জুন ব্লুমবার্গ ইনটেলিজেন্সের অ্যানালিস্ট গৌরব পাটানকর এবং নীতিন ছান্দুকা লেখেন, মরিশাসের কয়েকটি কোম্পানি আদানির বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নিয়েছে। বিদেশের কয়েকটি সংস্থার হাতে আদানির এত শেয়ার জমা হওয়ায় দেশীয় বিনিয়োগকারীরা আপাতত ওই কোম্পানিকে এড়িয়ে চলছেন।
অ্যানালিস্টদের মতে, ২০২১ সালে যেভাবে আদানি গোষ্ঠীর সম্পত্তি হু হু করে বেড়েছে, তার পরিণাম ভাল নাও হতে পারে। এমনকি মার্কিন শিল্পপতি ওয়ারেন বাফেট বা এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির সম্পত্তিও চলতি বছরে এত বাড়েনি। মূলত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আদানির কোম্পানিগুলির শেয়ারের বড় অংশ কিনে নিয়েছেন। আদানি গ্রুপের খুব কম শেয়ারই দেশীয় বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এরকম পরিস্থিতিতে শেয়ারের দাম দ্রুত ওঠাপড়া করে।