উড়িষ্যার বালাসোরের কাছে আছড়ে পড়ায় বাংলায় যশের ফাঁড়া কাটলেও, বারবারই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাণ্ডব চালাচ্ছে টর্নেডো। এর আগে হুগলীর ব্যান্ডেল, উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর, অশোকনগর এবং বীরভূমের মুরারইতে কয়েক মিনিটের ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল এলাকা। এবার ফের একবার বাংলায় আছড়ে পড়ল সেই টর্নেডো। আজ, সকাল সাড়ে ১০ টানা নাগাদ এই টর্নেডোর আচমকা দাপট দেখা যায় সাগর দ্বীপে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকালে আচমকাই দেখা যায় নদীর ওপর একটা কালো মেঘের কুণ্ডলী। পাক খেতে খেতে যেন নেমে আসছে সেটা। আর এই দৃশ্য দেখে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। এমন দৃশ্য তাঁরা কখনও দেখেননি। যদিও নদী থেকে আর এগিয়ে আসেনি টর্নেডো। ফলে, ঘর বাড়ির তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আগামিকাল বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, তার জেরেই এমন টর্নেডো বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
যশ আছড়ে পড়ার আগে ব্যান্ডেল, হালিশহর-সহ হুগলির একাধিক জায়গায় সেই দৃশ্যের সাক্ষী হন সাধারণ মানুষ। উড়ে যায় ২০০ টি বাড়ির টিনের চাল। ভেঙে যায় দরজার জানলার কাচও। আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন। কারো মাথায় টিন পড়ে, কেউ বা রাস্তায় পড়ে গিয়ে, কারোর মাথায় টালি পড়ে মাথা ফাটে। কয়েক মিনিটেই তছনছ হয়ে যায় সব কিছু। এমনকি কলকাতাতেও এমন টর্নেডো হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাইক্লোন যখন তৈরি হয় তখন অনেক সময় ওপরের বায়ুস্তরে হাওয়ার বেগ বৃদ্ধি পায়, অথচ নীচের দিকে তখনও হাওয়ার বেগ কম থাকে। দুই বায়ুস্তরের মধ্যে এই ফারাকের জেরেই ঘূর্ণির আকার ধারণ করে তৈরি হয় টর্নেডো। তখন নীচের দিক থেকে ওপরের দিক উঠতে থাকে ঘূর্ণি। বিশেষত জলা জায়গা থেকে আর্দ্রতা গ্রহণ করেই শক্তি বাড়ায় এই টর্নেডো।