২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে শোনা গিয়েছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সেসময় দলে থেকে গেলেও অবশেষে বুধবার কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ জিতিন প্রসাদ। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে, এবার কপিল সিব্বল ও অন্যান্য বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদেরও কেউ কেউ কি বিজেপিতে যোগ দেবেন?
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৩ জন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়ে বলেন, একজন পুরো সময়ের নেতা চাই। না হলে কংগ্রেসের বিপর্যয় রোধ করা যাবে না। ওই ২৩ জনকে গ্রুপ অব ২৩ বা জি-২৩ বলা হয়। জিতিন প্রসাদ এবং কপিল সিব্বল উভয়েই ওই গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তাই জিতিন প্রসাদের দলত্যাগের পরে কপিল সিব্বলকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সিব্বল নিজে অবশ্য ওই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, মরব, তবু বিজেপিতে যাব না। জিতিন প্রসাদ যেভাবে দলত্যাগ করেছেন, তাকে তিনি বলেন ‘প্রসাদ রাম পলিটিক্স’। এর পিছনে কোনও আদর্শ নেই। কেবলই ব্যক্তিস্বার্থ আছে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের পার্টি নেতৃত্ব কী করেছেন বা করেননি, তা নিয়ে আমি কোনও কথা বলব না। এখন অনেক সিদ্ধান্তই আদর্শের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে না। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে প্রসাদ রাম পলিটিক্সের ভিত্তিতে।’
পরে তিনি বলেন, ‘একসময় ছিল আয়ারাম গয়ারাম পলিটিক্স। বাংলায় কী হয়েছিল আমরা সবাই দেখেছি। অনেকে ভাবল, বিজেপি জিতবে। তাই তারা দলত্যাগ করল। এক্ষেত্রে কেউ আদর্শের ভিত্তিতে ভোটে লড়ছে না। তারা ভাবছে, ভোটে জিতলে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবে।’ সিব্বলের মতে, কেবল বাংলা নয়, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতেও একই প্রবণতা দেখা গিয়েছে।