অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশের আছড়ে পড়ার দিনই ঝড়-জল মাথায় করে নিজের কেন্দ্রে ছুটেছিলেন তিনি। এলাকাবাসীর খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি ঘুরে দেখেছিলেন ত্রাণ শিবিরগুলি। তারপরেও যশ বিধ্বস্ত পাথরপ্রতিমায় গিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এরই মধ্যে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত ৩০ জন। আজ, তাঁদের ‘দুয়ারে’ও পৌঁছে গেলেন অভিষেক। বুধবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও রঘুনাথগঞ্জের মৃত ৯ জনের বাড়িতে গিয়ে প্রতি পরিবারের সদস্যদের হাতে দলের তরফে ২ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি, আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে তিনি বলেছেন, ‘ওঁরা বলে আর আমরা কাজে করে দেখাই।’
এদিন বেলায় বহরমপুরে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে বহরমপুরের বানজেটিয়া ও হাতিনগরের দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। বজ্রপাতে মৃত অভিজিৎ বিশ্বাস(৪২) ও প্রহ্লাদ মোরারির(৪০) সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দু’জনের বাড়িতে যান অভিষেক। খোঁজ নেন পরিবারের সদস্যদের। প্রহ্লাদ মোরারি দুই সন্তানকে কাছে টেনে নেন অভিষেক। জড়িয়ে ধরে সমবেদনা জানান। তাঁর কাছে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিয়ে চিন্তাপ্রকাশ করেন প্রহ্লাদ মোরারির স্ত্রী। তাঁর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে অভিষেক যান রঘুনাথগঞ্জে। বজ্রপাতে রঘুনাথগঞ্জ ও সুতিতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নওদা তিরপাড়া এলাকায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
এদিন সকলের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেন অভিষেক। হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্য। শুধু তাই নয়। সারা বছর পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কোনও আর্থিক সাহায্যই এই ক্ষতিপূরণ করতে পারবে না। তবু আমরা সারা বছর মানুষের পাশে আছি।’ এরপরই বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘মার্চ-এপ্রিল মাসে কেউ কেউ এসে কারওর কারওর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আজকে তাঁরা কোথায়? ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পরে তাঁদের অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ তাঁর সাফ কথা, ‘কেন্দ্র তো সাহায্যের কথা মুখে ঘোষণা করেছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন। এটাই পার্থক্য। আমাদের দল, আমাদের সরকার কাজে বিশ্বাসী। মুখের কথায় নয়।’