একুশের যুদ্ধজয়ের পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই দিকে নজর রেখেই সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এবার অভিনব পদ্ধতিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি পদে নিয়োগ করতে চলেছে তারা। জানা গিয়েছে, এই পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহী সদস্যদের কাছ থেকে বায়োডাটা চাইলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জুন মাসের ১৬ তারিখ এই দুই পদের নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই ১০ তারিখের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তিদের বায়োডাটা জমা করতে বলেছেন নেতারা।
প্রসঙ্গত, মালদায় তৃণমূল ত্যাগী দুই জেলা পরিষদ সদস্যর সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। গত ৩ জুন তাঁদের সদস্যপদ খারিজের নির্দেশ দেন মালদার ডিভিশনাল কমিশনার। সূত্রের খবর, ওই দুই সদস্য হলেন দ্রোপদী ঘোষ এবং নাসির শেখ। বেলডাঙার তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য দ্রোপদী ঘোষ একুশের নির্বাচনের আগে পদ্মশিবিরে নাম লেখান, আর রঘুনাথগঞ্জের তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য নাসির শেখ কংগ্রেসে যোগ দেন। এমনকী তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা তজিমুদ্দিন খান মালদার ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানান। এরপর ভার্চুয়াল শুনানিতে মালদার ডিভিশনাল কমিশনার গোলাম আলি আনসারি তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করেন।
এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পরই তৃণমূল নেতৃত্ব সংগঠন-সহ সর্বস্তরেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে আনবার চেষ্টা করছেন। আর তাই নতুন করে জেলা সভাধিপতির পদে কাউকে বসানোর আগে সেই সদস্যের ভাবমূর্তির দিকেও নজর দিতে চাইছেন তারা। এখন দলের ৬৫ জন জেলা পরিষদের সদস্যদের কোনও একজনের মধ্যে সব গুণ কার আছে তা বাছতে জেলার জোড়া মন্ত্রী-সহ কোর কমিটির প্রায় সব সদস্যই জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। তখন সেখানে জেলা পরিষদের সকল সদস্যদের কাছেই ওই পদে বসতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছ থেকে বায়োডাটা চাওয়া হয়েছে বলে খবর। এবার জীবনপঞ্জী পড়ে ওই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও জানা যাবে। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘বায়োডাটা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষেই ঠিক হবে জেলা পরিষদের পরবর্তী সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি পদে কে বসবেন।’