কেন্দ্রের নয়া ৩ কৃষি আইন নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্নদাতারা। যা নিয়ে একেই অস্বস্তিতে মোদী সরকার। এরই মধ্যে জানা গেল, গত চার বছরে দেশে পাঁচ গুণ বেড়েছে কৃষক আন্দোলন। ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রমেন্ট’ (সিএসসি)-এর এই রিপোর্ট উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিকে আরও কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দিল। কারণ কৃষক আন্দোলন এবং কৃষকদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ নিঃসন্দেহে উত্তরপ্রদেশের আসন্ন ভোটে অন্যতম বড় নির্বাচনী বিষয়। এবং এই থিংক ট্যাঙ্কটির রিপোর্ট বা সমীক্ষা যথেষ্ট মান্যতা পেয়ে থাকে। তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ২০১৭ সালে ১৫টি রাজ্যে ৩৪টি বড় কৃষক আন্দোলন হয়েছিল। এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৬৫টি বড় আন্দোলনে। কৃষিক্ষেত্রে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে দেশের ২২টি রাজ্যেই।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লীর সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন ছ’মাস পেরিয়ে গিয়ে গিয়েছে। এই সময়ে সিএসসি-র রিপোর্টিকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘কৃষকেরা অর্থনৈতিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছেন। গত বছর বিজেপি-র আনা কালা কৃষি কানুন গোটা কৃষি অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। চাষীরা কেন্দ্রের উপর অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং আন্দোলরত কৃষকদের ঐক্য বিজেপির অহঙ্কার গুঁড়িয়ে দেবে।’ সিএসসি-র সমীক্ষা বলছে, ক্ষোভ শুধু ৩ কৃষি আইন নিয়ে নয়। উত্তরপ্রদেশের ‘মিডলম্যান’–রা যে ভাবে চাষির লাভের ফসল কেড়ে নিয়ে বড় আড়তদারদের বিক্রি করছে, ঋণের ফাঁদে ফেলছে কৃষকদের, হিমঘরের অভাবে ফসল নষ্ট হচ্ছে— তা দীর্ঘদিন ধরেই হতাশা তৈরি করেছে যোগী রাজ্যের ছোট চাষীদের মধ্যে। আর যার ফলে বাড়ছে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনাও।