একুশের ভোটে মমতার পর তিনিই ছিলেন দলের দ্বিতীয় তারকা প্রচারক। জেলায় জেলায় ঘুরে প্রচার করেছেন। ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে দলের নিয়ে আসার সিদ্ধান্তও ছিল তাঁরই। তাঁর সেই পরিশ্রম এবং সিদ্ধান্তের ফল পেয়েছে তৃণমূল। আর তারই পুরষ্কার স্বরূপ শনিবার তৃণমূলের যুবনেতার পদ থেকে সরাসরি দলের সাধারণ সম্পাদকে উত্তরণ। নতুন গুরুদায়িত্ব পেয়েই এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, ‘তৃণমূলে সেকেন্ড ম্যান বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই আমাদের পথ চলা।’
সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে সাত বছর যুব তৃণমূলের দায়িত্ব সামলেছি। এবার নতুন পথ চলা শুরু করলাম। তাঁর জন্য গুরুজনদের আশীর্বাদ নিয়েছি।’ এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেছেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘আশা করব বিরোধী দলনেতা কোনওরকম কুৎসা, অপপ্রচার না করে গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।’ তিনি এ-ও বলেন, ‘যেভাবে আমরা মানুষের সমর্থন পেয়েছি তাতে আপ্লুত। সারা দেশের মানুষ আশা করতে শুরু করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই।’
আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের ভূমিকা কী হতে চলেছে, এদিন তারও কিছুটা আভাস দিয়েছেন দলের নয়া সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কথায়, ‘মাত্র ৪৮ ঘণ্টা হল সবে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আগামী ২-৩ সপ্তাহ অথবা এক মাসের মধ্যেই তৃণমূলের পরবর্তী পরিকল্পনা আমরা জানাব। ঢেলে সাজানো হবে দলের কর্মসূচী। আগে যা ছিল, সেই তৃণমূলের থেকে অনেকটাই নতুন রূপে আসবে দল।’ একইসঙ্গে অভিষেকের বক্তব্য, ‘আমরা যদি কোনও রাজ্যে ভোটের ময়দানে লড়াই করতে যাই, তবে সেটা শুধুমাত্র নির্বাচনী লড়াইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সেই রাজ্যকে জয় করতে ঝাঁপাবে তৃণমূল। কারণ সমস্ত ভারতকে পথ দেখিয়েছে বাংলা।’