সেপ্টেম্বরে সংসদে তিন কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দিল্লী সীমান্তের পাশাপাশি রাজ্যেও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হরিয়ানায় কৃষকরা। গত বুধবারই যেমন জেজেপি দলের বিধায়ক দেবেন্দ্র সিং বাবলির বাড়ি ঘেরাও করেছিলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। যার ফলে বিকাশ সিসার ও রবি আজাদ নামে দুই কৃষক নেতা গ্রেফতার হন। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রবিবার থানায় অবস্থান করেন কৃষকরা। ফতেহাবাদ জেলার তোহানা থানায় দেখা যায়, কৃষকরা একটি গরুকে নিয়ে এসেছেন। তাঁদের দাবি, কৃষক নেতাদের গ্রেফতারের সাক্ষী ওই গরুটি।
রবিবার রাতে দুই কৃষক নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু তোহানা থানায় তার পরেও অবরোধ চলতে থাকে। সোমবার দেখা যায়, গরুটিকে থানার কাছে একটি খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে। কৃষকদের দাবি, পুলিশই ওই গরুর জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করুক। আন্দোলনকারী কৃষকদের একজন বলেন, ‘বর্তমান সরকার নিজেদের গোভক্ত বলে দাবি করে। আমাদের ধারণা, গরু নিয়ে আন্দোলন করলে সরকারের মনে সুবুদ্ধির উদয় হবে।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিধায়ক দেবেন্দ্র সিং বাবলি একটি টিকাকরণ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। তখনই কৃষকদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। এরপর তোহানায় বাল্লিয়ালা রেস্ট হাউসে মঙ্গলবার বাবলির সঙ্গে কৃষক নেতাদের কথা হয়। বৃহস্পতিবার কৃষকরা বিধায়কের কুশপুতুল দাহ করেন। তাঁরা দাবি করেন, বিধায়ক যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, সেজন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। মঙ্গলবার বিধায়কের সঙ্গে বচসার পরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর হয়। বুধবার কৃষকরা বাবলির বাড়ি ঘেরাও করেছিলেন। সেজন্য আর একটি এফআইআর হয়।