করোনা পরিস্থিতিতে ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হয়েছে রাজকোষের। আর এই পরিস্থিতিতে ২০২১-‘২২ অর্থবর্ষে বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদী সরকার। বাজেটে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানিয়েছিলেন যে, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ছাড়াও আগামী অর্থবর্ষে আরও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেসরকারিকরণ করা হবে। যদিও সেসময় ওই সরকারি ব্যাঙ্কগুলির নাম বলেননি তিনি। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে নিজেদের শেয়ার বেচে দিতে পারে কেন্দ্র। ওই দু’টি ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণ করতে বলেছিল নীতি আয়োগ। এছাড়া ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ারও সরকারি শেয়ার বেচে দেওয়া হতে পারে।
অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, কোন কোন সংস্থার বেসরকারিকরণ করা যায়, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে ডিসইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস দফতরে। প্রাথমিকভাবে নীতি আয়োগ পরামর্শ দেবে, কোন সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণ করা যেতে পারে। পরে একাধিক মন্ত্রকের অফিসারদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে। পরে সেই প্রস্তাব বিবেচনা করবেন কয়েকজন মন্ত্রী। শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেই প্রস্তাব অনুমোদন করবে।
সরকারি সম্পত্তি বিক্রির ব্যাপারে যে দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, তার নাম ডিপার্টমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। ওই দফতর জানিয়েছে, সরকারি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ কীভাবে করা যায়, সেজন্য কোনও আইনের পরিবর্তন করা প্রয়োজন কিনা, তা নিয়ে তারা ডিপার্টমেন্ট অব ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের সঙ্গে আলোচনা করবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করতে গেলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে অর্থমন্ত্রককে। সম্প্রতি আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারের শেয়ার বেচে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সরকারের আশা, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই আইডিবিআইয়ের শেয়ার বেচে ফেলা যাবে।