রাজ্যের মন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক দুর্নীতি করেছেন। তাই সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই দল বদলে চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় রাজ্য সরকারও। এবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করল মানিকতলা থানার পুলিশ।
টাকা দিয়ে সেচ দফতরের চাকরি মিলছে বলে জানতে পারেন অশোকনগরের বাসিন্দা সুজিত দে। যোগাযোগ করেন সেচমন্ত্রী থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং প্রায় সর্বক্ষণের সঙ্গী রাখাল বেরা এবং চঞ্চল বেরার সঙ্গে। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি পাননি বলে অভিযোগ সুজিতের। পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন, সেচ দফতরে প্রথমে চুক্তিভিত্তিক পরে স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন রাখাল বেরা। সেই মতো দুই কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। তবে চাকরি পাননি। কিন্তু টাকাও ফেরত দেননি রাখাল বেরা।
এরপর ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন ও অন্যান্য প্রমাণ হাতে আসে তদন্তকারীদের। তারপরই শনিবার রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। শুধু সুজিত নয়, কম বেশি ৬০ জনের সঙ্গে রাখাল প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। তবে রাখাল প্রভাবশালী হওয়ায় বাকিরা প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তদন্তের প্রয়োজনে প্রাক্তন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এমনিতেই বিজেপি এবারের ভোটে একেবারে বিপর্যস্ত। তার ওপর শুভেন্দু অধিকারী এই সমস্যায় জড়িয়ে পড়ায় আরও অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।