গত বছর থেকেই বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির তৈরি ‘করোনিল’কে করোনার আয়ুর্বেদিক ওষুধ দাবি করা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর উত্তরাখণ্ড শাখা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ড সরকারের কোভিড কিটে পতঞ্জলির ওষুধ করোনিল অন্তর্ভুক্ত হল। সেরাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন ইতিমধ্যেই এই অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে। কেন ওই ওষুধ করোনা কিটের মধ্যে রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু করোনিলকে অনুমোদন দেয়নি। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকাতেও এই আয়ুর্বেদিক ওষুধকে রাখা হয়নি। তাহলে কেন উত্তরাখণ্ডের করোনা কিটে জায়গা দেওয়া হল করোনিলকে। এই প্রশ্ন তুলে চিকিৎসকদের সংগঠনের সাফ কথা, ‘অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে করোনিলের এই অন্তর্ভুক্তি তো মিক্সোপ্যাথি (অর্থাৎ আয়ুর্বেদ ও অ্যালোপ্যাথির মিশ্রণ)। যা সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া নিয়মানুযায়ী অনুমোদনযোগ্য নয়।’ উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে করোনিল আত্মপ্রকাশ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকরি। মে মাসে হরিয়ানা সরকারের বিনামূল্যের করোনা কিটে অন্তর্ভুক্ত হয় করোনিল। তখনও তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এবার উত্তরাখণ্ডের করোনা কিটেও রাখা হল করোনিলকে।