একুশের ভোটে গোহারা হারের পর থেকেই ঘরছাড়া দলের বহু কর্মী-সমর্থক। এই পরিস্থিতিতে সশরীরে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভিন রাজ্যের নেতাদের কাছে নালিশ জানাতেই রাজ্য বিজেপি নেতাদের যেন বেশি উৎসাহ! আসলে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তত্ত্বকে আঁকড়ে ধরে এই মুহূর্তে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু সেই পরিকল্পনাতে যথেষ্ট ঘাটতি আছে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবিরেরই একাংশ। তাঁদের যুক্তি, সন্ত্রাস ইস্যুতে আন্দোলন তো নয়ই, এমনকী, কোন জেলায় কত কর্মী আক্রান্ত বা কত কর্মী ঘরছাড়া, সেই সব তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপি বিশেষ সরব নয়। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার আক্ষেপ, ‘আমরা নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার কথা বলছি ঠিকই, কিন্তু আমাদের অভিযোগগুলো মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য কিছু করছি না। গোটা ব্যাপারটাই ভাসা ভাসা।’
এরই মধ্যে বিজেপির রাজ্য নেতারা ঘরে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাংলার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কথা বর্ণনা করছেন ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের কাছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন মেঘালয়ের বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে তিনি এ রাজ্যের সন্ত্রাস পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন। এর নেপথ্যে বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার যুক্তি, ‘ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে বাংলার বিজেপির কর্মীদের ওপর কী রকম দমন-পীড়ন নেমে এসেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত। এতে জাতীয়স্তরে তৃণমূলের ওপর রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক চাপ তৈরি করতে সুবিধা হবে।’ কিন্তু এই যুক্তি মানতে চাইছেন না রাজ্য বিজেপির বহু নেতা-নেত্রীই। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, ভিন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের কাছে কাঁদুনি না-গেয়ে বরং আক্রান্ত কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নেতারা ধরনায় বসলে বেশি কাজ হতো।