এক দশক আগেও রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তারা। কিছুদিন আগেও কয়েক ডজন বিধায়ক ছিল তাদের। কিন্তু একুশের মহাযুদ্ধের ফল ঘোষণা হতেই দেখা গিয়েছে, বাংলা থেকে কার্যত একেবারেই ভ্যানিশ রাজ্যে একটানা ৩৪ বছর সরকার চালানো বামেরা। বিধানসভায় যেতে পারেননি একজনও বাম প্রার্থী। একে স্রেফ ভরাডুবি না বলে বিপর্যয় বলাই ভাল। এবার সেই বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনার পর্বেই সিপিএমের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগল বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক। শুধু মুখে নয়, লিখিতভাবে শরিক সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে তারা। সিপিএমও জবাব দেবে লিখিত আকারেই। বাংলায় বামফ্রন্টের ইতিহাসে এমনটা কখনও ঘটেনি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয়ে আগামীকাল, শনিবার বৈঠকও হবে শরিকদের মধ্যে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ, জোটের বিপর্যয়ের মূল কারণই হল সিপিএম। কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে তারা একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসন ভাগাভাগির সময় শরিকদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। মোদ্দাকথা, সিপিএমের দাদাগিরি মনোভাব এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা হবে। তবে বাম ঐক্য ভাঙার কথা আমরা কখনও বলিনি। আমরা বলেছি প্রথমে কংগ্রেস ও পরে আইএসএফের সঙ্গে জোট করা হয়েছে। পরপর দু’বারই ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। তাই জোট করে আমরা ঠিক করেছিলাম না ভুল করেছিলাম তা ভাবতে হবে, ভুল হলে তা সংশোধন করতে হবে।’ অন্যদিকে, সিপিএমের বক্তব্য, শরিকদের সব অভিযোগ শোনা হবে। প্রয়োজন শরিক দলের দাবি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।